উপভোগ - ০১
এই যে খোকাবাবু...... খিলোনা লিবে নাকি?
হঠাৎ পেছন থেকে এরকম একটা বিশ্রী আওয়াজ শুনে চমকে উঠলো অর্ক। পেছনে ফিরে দেখলো একজন রোগা কালো করে লোক বোধহয় মূর্তি বিক্রেতা কারণ মাটিতে অনেক মূর্তি রাখা, হাসি মুখে ওর দিকেই তাকিয়ে। যেমন বিশ্রী গলার স্বর তেমনি দেখতে তাকে।
আমায় কিছু বললেন কাকু? জিজ্ঞেস করলো অর্ক।
লোকটা হেসে ওকে হাতের ইশারায় কাছে আসতে বললো। অর্ক এদিক ওদিক তাকিয়ে এগিয়ে গেলো লোকটার কাছে। এদিকটায় এইসময় লোক থাকেনা তেমন। বাবারে কেমন যেন দেখতে লোকটাকে। বিশেষ করে লোকটার চাহুনি। একটু ভয় হচ্ছিলো অর্কর তাও এগিয়ে এসেছে। লোকটা হেসে বললো : খিলোনা লিবে নাকি? ভালো ভালো খিলোনা আছে হামার কাছে।
অর্ক হেসে বললো : খেলনা কথায় কাকু? ওগুলোতো মাটির মূর্তি।
লোকটা জিভ কেটে বললো : সহি সহি......মূর্তি।।। তবে খিলোনাও বলা যায় হি।। হি।। হি
বাবারে।।। কেমন করে হাসে রে বাবা।
অর্ক রোজ এই রাস্তা দিয়েই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে। এই সেদিন পর্যন্ত ওর মা ওকে স্কুলে দিয়ে আর নিয়ে আসতো। কিছুদিন হলো ও ওর বন্ধু রোহিতের সাথে বাড়ি ফিরছে। বেশি দূরে বাড়ি নয় ওদের। স্কুলের কাছেই বাড়ি। যদিও অর্কর মা বলেছিলো কি দরকার একা ফেরার।।। ছোট মানুষ। হারিয়ে যায় যদি। কিন্তু অর্কর বাবা বলেছিলেন - না।।।। এখন থেকেই ওকে নিজের কাজ নিজে করতে দাও। তাহলে ওর মধ্যে confidence তৈরী হবে। তাই অর্কর মা ওকে একলা ফিরতে অনুমতি দিয়েছেন।
স্কুল থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গল্প করতে অর্ক আর রোহিত বাড়ি ফেরে। তারপরে রোহিত একটা গলি ধরে অন্যদিকে চলে যায় আর বাকি পথটা অর্ক একাই হেঁটে ফেরে। আজ শনিবার। হাফ ছুটি। রোজকার মতো আজও অর্ক একাই ফিরছিলো তখনি এই ডাক পেছন থেকে।
অর্ক ভেবেছিলো লোকটাকে এড়িয়ে চলে যাবে কারণ মা বারবার বলে দিয়েছে অচেনা অজানা লোকের সাথে একদম কথা বলবিনা। কেউ কিছু দিলে খাবিনা, নিবিনা। তাই অর্ক ভেবেছিলো লোকটাকে কিছু নেবোনা কাকু।।।। বলে চলে আসবে। কিন্তু লোকটার ওই মূর্তিগুলোর দিকে তাকিয়ে চোখ আটকে গেলো ওর। কি অসাধারণ হাতের কাজ। সব মূর্তি মানুষের আর পশুপাখির। যেন জীবন্ত। এতটাই নিখুঁত কাজ। সত্যি এবারে লোভ হচ্ছে একটা নিতে।
লোকটা অর্কর মনের ভাব বুঝতে পেরে আবার ওই বিশ্রী গলায় হেসে বললো : পসন্দ আয়া তুমকো।।। হয়না?
অর্ক মুচকি হেসে মাথায় নারে।
লোকটা : তাহলে লিয়ে যাও একঠো....... বাড়িতে সাজিয়ে রাখবে
অর্ক গোমড়া মুখ করে বললো : নিতে ইচ্ছে করছে কাকু।।।। কিন্তু আমার কাছে তো টাকা নেই। মা আমায় টাকা দেয়না। আসলে আমি ছোট বলে মা আমায় এখনও সাথে টাকা রাখতে দেয়না।
লোকটা আবার খ্যাক খ্যাক করে হেসে বললো : টাকা নেই তো কি হয়েছে খোকা? টাকা আমার পরে পেলেও চলেগা।।।।।। না পেলেও চলেগা।।।।। তুমি বরং একঠো মুরাত নিয়ে যাও।
অর্ক আনন্দে : সত্যি !! সত্যি তুমি আমায় এমনি এমনি দিয়ে দেবে কাকু?
লোকটা : দিবো তো জারুর দিবো।।। তবে আগে একঠো বাত বলো তো।।। তোমার বাড়িতে কে কে আছে?
অর্ক : কেন বাবা, মা, দাদু, ঠাম্মি আর আমি।।। ব্যাস।
লোকটা : বাহ।।। ভরপুর পরিবার।।।।। বহুত আচ্ছা।।।। তা তোমার বাবা তোমাদের সাথেই থাকেন তো?।।।। ।। নাকি কাম কে খাতির বাইরে বাইরে থাকতে হয়?
অর্ক মনে মনে ভাবলো : যা বাবা।।।। মূর্তি কেনার সাথে বাড়িতে কে থাকে, বাবা সাথে থাকে কিনা জানার কি যোগাযোগ বুঝলাম না।
তবু অর্ক বললো : না না।। বাবা আমাদের সাথেই থাকে। রোজ অফিসে যান আর ছটার মধ্যে ফিরে আসেন কিন্তু কেন কাকু? এটা জিজ্ঞেস করলেন কেন?
লোকটা হেসে : নাহি নাহি।।।। আইসেহি।।।।।।। ঠিক আছে বাবু।।। তুমি।।।।।।। তুমি এই এইটা সাথে লিয়ে যাও।
এই বলে লোকটা একটা মূর্তি ঝোলা থেকে বার করে হাতে নিয়ে অর্কর দিকে বাড়িয়ে দিলো। অর্ক দেখলো একটা মেয়ে মানুষের মূর্তি। অর্ক হাতে নিলো সেটা। দারুন জিনিসটা। একটা মহিলা, খুবই সুন্দরী, দাঁড়িয়ে রয়েছে। একহাত দিয়ে নিজের নগ্ন শরীরের নগ্নতা লুকোচ্ছে আর অন্য হাতটা ঠোঁটের কাছে রাখা। তার দুই বক্ষ চুলে ঢাকা। খুবই কামনাময় রূপ। কিন্তু অর্কর ওসব বোঝার বয়স হয়নি, সে মূর্তিটা দেখছে। মহিলার চুল অনেক লম্বা। এত সুন্দর আর নিখুঁত কাজ যেন মনে হচ্ছে সত্যি একটা ছোট আকারের মহিলা সেটা। কিন্তু যে ব্যাপারগুলি তাকে মানুষের চেহারা থেকে আলাদা করে তা হলো এর দুটি ডানা রয়েছে , তবে পাখির ডানা নয়, বাদুড়ের ডানার মতো। আর একটা লেজও আছে। ও বাবা।।। আবার মাথায় দুটো ছোট শিং ও রয়েছে। কিন্তু তার থেকেও অদ্ভুত হলো মহিলার পা দুটো। এত মানুষের পা নয়, এত অনেকটা ছাগলের পায়ের মতো। আর মহিলা কিসের ওপর পা রেখে দাঁড়িয়ে ? যেন অনেক গুলি ছোট ছোট মাথার খুলি সেগুলি। তার ওপর পা রেখে দাঁড়িয়ে সেই মূর্তি।
লোকটা বললো : লিয়ে যাও খোকা।।।।। এইসব জিনিস তুমি অন্যকোথাও পাবে না।।।।। এসব জিনিস সবাই বানাতে পারেনা। সবার যোগ্যতা নেই এই সব বানানোর। আমার নিজের হাতের বানানো। লিয়ে যাও।। বাড়িতে সাজিয়ে রেখো। দেখবে খুব ভালো লাগবে।।। কিছুদিনের মধ্যেই তোমাদের পরিবারের একজন হয়ে যাবে এটি।
অর্ক ভাবলো এইভাবেই বিনা টাকা দিয়ে সে বিনামূল্যে কিছু নেবে না। তাই সে বললো - না কাকু।।।। এটা বানাতে তোমার অনেক কষ্ট হয়েছে, এইভাবে ফ্রি তে আমায় দিলে তোমার তো অনেক ক্ষতি হবে।।। তুমি এটা কাউকে বেচে দিও।
লোকটা আবার হেসে বললো : না খোকাবাবু।।।। ওটা তুমি রাখো। আমি বলছি।।।।। ওটা তোমার জন্যই। হামার টাকা লাগবেনা। আমি নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে এসব বেচি।।।।। কিন্তু ওই মূর্তিটা আমি কাউকে বেচিনা।।।।। ওটা আমার সবথেকে সেরা কাজ। কিন্তু আভি ওটা আমার আর সাথে রাখতে আর ইচ্ছে করছেনা। ওটা আর হামার সাথে রাখবোনা। তাই ওটা বিনামূল্যে তোমায় দিলুম। সাথে লিয়ে যাও। আচ্ছা খোকাবাবু অভি তুম যাও।
অর্ক কি আর করবে। হাসিমুখে লোকটাকে থ্যাংক উ বলে মূর্তিটাকে ব্যাগে পুরে নিয়ে চলে আসতে লাগলো। কিছুদূর যাবার পরে কি ভেবে আরেকবার পেছন ফিরে তাকালো লোকটাকে দেখবে বলে।।।।। কিন্তু কই? যেখানে লোকটা একটু আগেও বসেছিল এখন ওখানে কিছুই নেই।। ফাঁকা।
বাড়ি ফিরতে ফিরতে অর্ক ভাবছিলো মা কি বলবে এটা দেখে? অচেনা লোকের থেকে জিনিস নিয়েছি শুনলে মা ভয়ানক বকবে ওকে। অর্ক মাকে খুব ভালোবাসে কিন্তু মায়ের রাগকে ভয়ও পায়। এইদিক থেকে বাবা অনেক বেশি সাপোর্ট করে। তাই অর্ক ভাবলো মাকে জানতে দেবেনা যে এটা ও এনেছে। গিয়েই লুকিয়ে রাখবে এটা নইলে মায়ের হাত থেকে নিস্তার নেই।
অর্কর দাদু আর ঠাম্মি একতলায় থাকে আর দোতলায় ওরা। ও গেটের কাছে এসে বেল বাজালো। ওপরের বারান্দায় একবার অর্কর মাকে দেখা গেলো। তারপরে মায়ের মুখ অদৃশ্য হলো। একটু পরেই নীচে নেমে এলো মা আর চাবি দিয়ে শাটার খুলে ছেলেকে জিজ্ঞেস করলো : কিরে বাবু? একটু দেরি হলো আজ?
অর্ক : মা ওই বন্ধুদের সাথে হাঁটতে হাঁটতে আসছিলাম তাই।।।
মা : আচ্ছা যা।।।। ওপরে গিয়ে জামা প্যান্ট খোল।।।। আমি আসছি। একবার বাবার কাছে যাই। তোর দাদুর একটু সর্দি সর্দি হয়েছে। দেখে আসছি।
যাক।।।। এই তো একটু সময় পাওয়া গেছে। এই সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে। ও সঙ্গে সঙ্গে ওপরে উঠে গেলো। আগে ঘরে গিয়েই ও ব্যাগের চেন খুলে মূর্তিটা বার করে এদিক ওদিক দেখতে লাগলো। তারপরে বিছানার নীচে লুকিয়ে ফেললো। তারপরে জামা প্যান্ট খুলে বাথরুম গেলো কাপড় পাল্টাতে। ফিরে দেখলো মা ওপরে চলে এসেছে। মা টেবিলে খাবার দিচ্ছে। ও আর মা দুপুরে খাওয়া খেতে লাগলো। মায়ের কাছ থেকে ও কিছু কখনো লুকোয় না তাই ওর খাড়াপ লাগছে যে ও মায়ের থেকে মূর্তিটা লুকিয়েছে। ইচ্ছে করছে মাকে এক্ষুনি সব বলে দিক তারপরে যা হবে হোক কিন্তু মূর্তিটা এত সুন্দর, মা হয়তো সব জেনে মূর্তিটা বাইরে ফেলে দেবে তাই আর কিছু বল্লোনা ও মাকে। বিকেলে বাবা ফিরুক। বাবাকে দিয়েই মাকে বলবে। বাবা বললে মা আর ওটা ফেলবে না।
তাই ও কথাটা চেপে মায়ের সাথে খেতে লাগলো। দুপুরে মা ওকে নিয়ে কিছুক্ষন ঘুমিয়ে নিলো। অর্ক এখনও মাকে জড়িয়ে ঘুমায়। মা ওকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে নিজেও ঘুমিয়ে পড়লো।
এই যে খোকাবাবু।।।।। খিলোনা লিবে নাকি?
হঠাৎ পেছন থেকে এরকম একটা বিশ্রী আওয়াজ শুনে চমকে উঠলো অর্ক। পেছনে ফিরে দেখলো একজন রোগা কালো করে লোক বোধহয় মূর্তি বিক্রেতা কারণ মাটিতে অনেক মূর্তি রাখা, হাসি মুখে ওর দিকেই তাকিয়ে। যেমন বিশ্রী গলার স্বর তেমনি দেখতে তাকে।
আমায় কিছু বললেন কাকু? জিজ্ঞেস করলো অর্ক।
লোকটা হেসে ওকে হাতের ইশারায় কাছে আসতে বললো। অর্ক এদিক ওদিক তাকিয়ে এগিয়ে গেলো লোকটার কাছে। এদিকটায় এইসময় লোক থাকেনা তেমন। বাবারে কেমন যেন দেখতে লোকটাকে। বিশেষ করে লোকটার চাহুনি। একটু ভয় হচ্ছিলো অর্কর তাও এগিয়ে এসেছে। লোকটা হেসে বললো : খিলোনা লিবে নাকি? ভালো ভালো খিলোনা আছে হামার কাছে।
অর্ক হেসে বললো : খেলনা কথায় কাকু? ওগুলোতো মাটির মূর্তি।
লোকটা জিভ কেটে বললো : সহি সহি।।।। মূর্তি।।। তবে খিলোনাও বলা যায় হি।। হি।। হি
বাবারে।।। কেমন করে হাসে রে বাবা।
অর্ক রোজ এই রাস্তা দিয়েই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে। এই সেদিন পর্যন্ত ওর মা ওকে স্কুলে দিয়ে আর নিয়ে আসতো। কিছুদিন হলো ও ওর বন্ধু রোহিতের সাথে বাড়ি ফিরছে। বেশি দূরে বাড়ি নয় ওদের। স্কুলের কাছেই বাড়ি। যদিও অর্কর মা বলেছিলো কি দরকার একা ফেরার।।। ছোট মানুষ। হারিয়ে যায় যদি। কিন্তু অর্কর বাবা বলেছিলেন - না।।।। এখন থেকেই ওকে নিজের কাজ নিজে করতে দাও। তাহলে ওর মধ্যে confidence তৈরী হবে। তাই অর্কর মা ওকে একলা ফিরতে অনুমতি দিয়েছেন।
স্কুল থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গল্প করতে অর্ক আর রোহিত বাড়ি ফেরে। তারপরে রোহিত একটা গলি ধরে অন্যদিকে চলে যায় আর বাকি পথটা অর্ক একাই হেঁটে ফেরে। আজ শনিবার। হাফ ছুটি। রোজকার মতো আজও অর্ক একাই ফিরছিলো তখনি এই ডাক পেছন থেকে।
অর্ক ভেবেছিলো লোকটাকে এড়িয়ে চলে যাবে কারণ মা বারবার বলে দিয়েছে অচেনা অজানা লোকের সাথে একদম কথা বলবিনা। কেউ কিছু দিলে খাবিনা, নিবিনা। তাই অর্ক ভেবেছিলো লোকটাকে কিছু নেবোনা কাকু।।।। বলে চলে আসবে। কিন্তু লোকটার ওই মূর্তিগুলোর দিকে তাকিয়ে চোখ আটকে গেলো ওর। কি অসাধারণ হাতের কাজ। সব মূর্তি মানুষের আর পশুপাখির। যেন জীবন্ত। এতটাই নিখুঁত কাজ। সত্যি এবারে লোভ হচ্ছে একটা নিতে।
লোকটা অর্কর মনের ভাব বুঝতে পেরে আবার ওই বিশ্রী গলায় হেসে বললো : পসন্দ আয়া তুমকো।।। হয়না?
অর্ক মুচকি হেসে মাথায় নারে।
লোকটা : তাহলে লিয়ে যাও একঠো।।।।।।। বাড়িতে সাজিয়ে রাখবে
অর্ক গোমড়া মুখ করে বললো : নিতে ইচ্ছে করছে কাকু।।।। কিন্তু আমার কাছে তো টাকা নেই। মা আমায় টাকা দেয়না। আসলে আমি ছোট বলে মা আমায় এখনও সাথে টাকা রাখতে দেয়না।
লোকটা আবার খ্যাক খ্যাক করে হেসে বললো : টাকা নেই তো কি হয়েছে খোকা? টাকা আমার পরে পেলেও চলেগা।।।।।। না পেলেও চলেগা।।।।। তুমি বরং একঠো মুরাত নিয়ে যাও।
অর্ক আনন্দে : সত্যি !! সত্যি তুমি আমায় এমনি এমনি দিয়ে দেবে কাকু?
লোকটা : দিবো তো জারুর দিবো।।। তবে আগে একঠো বাত বলো তো।।। তোমার বাড়িতে কে কে আছে?
অর্ক : কেন বাবা, মা, দাদু, ঠাম্মি আর আমি।।। ব্যাস।
লোকটা : বাহ।।। ভরপুর পরিবার.....বহুত আচ্ছা...... তা তোমার বাবা তোমাদের সাথেই থাকেন তো?.... নাকি কাম কে খাতির বাইরে বাইরে থাকতে হয়?
অর্ক মনে মনে ভাবলো : যা বাবা।।।। মূর্তি কেনার সাথে বাড়িতে কে থাকে, বাবা সাথে থাকে কিনা জানার কি যোগাযোগ বুঝলাম না।
তবু অর্ক বললো : না না।। বাবা আমাদের সাথেই থাকে। রোজ অফিসে যান আর ছটার মধ্যে ফিরে আসেন কিন্তু কেন কাকু? এটা জিজ্ঞেস করলেন কেন?
লোকটা হেসে : নাহি নাহি...... আইসেহি...... ঠিক আছে বাবু।।। তুমি...... তুমি এই এইটা সাথে লিয়ে যাও।
এই বলে লোকটা একটা মূর্তি ঝোলা থেকে বার করে হাতে নিয়ে অর্কর দিকে বাড়িয়ে দিলো। অর্ক দেখলো একটা মেয়ে মানুষের মূর্তি। অর্ক হাতে নিলো সেটা। দারুন জিনিসটা। একটা মহিলা, খুবই সুন্দরী, দাঁড়িয়ে রয়েছে। একহাত দিয়ে নিজের নগ্ন শরীরের নগ্নতা লুকোচ্ছে আর অন্য হাতটা ঠোঁটের কাছে রাখা। তার দুই বক্ষ চুলে ঢাকা। খুবই কামনাময় রূপ। কিন্তু অর্কর ওসব বোঝার বয়স হয়নি, সে মূর্তিটা দেখছে। মহিলার চুল অনেক লম্বা। এত সুন্দর আর নিখুঁত কাজ যেন মনে হচ্ছে সত্যি একটা ছোট আকারের মহিলা সেটা। কিন্তু যে ব্যাপারগুলি তাকে মানুষের চেহারা থেকে আলাদা করে তা হলো এর দুটি ডানা রয়েছে , তবে পাখির ডানা নয়, বাদুড়ের ডানার মতো। আর একটা লেজও আছে। ও বাবা।।। আবার মাথায় দুটো ছোট শিং ও রয়েছে। কিন্তু তার থেকেও অদ্ভুত হলো মহিলার পা দুটো। এত মানুষের পা নয়, এত অনেকটা ছাগলের পায়ের মতো। আর মহিলা কিসের ওপর পা রেখে দাঁড়িয়ে ? যেন অনেক গুলি ছোট ছোট মাথার খুলি সেগুলি। তার ওপর পা রেখে দাঁড়িয়ে সেই মূর্তি।
লোকটা বললো : লিয়ে যাও খোকা...... এইসব জিনিস তুমি অন্যকোথাও পাবে না..... এসব জিনিস সবাই বানাতে পারেনা। সবার যোগ্যতা নেই এই সব বানানোর। আমার নিজের হাতের বানানো। লিয়ে যাও।। বাড়িতে সাজিয়ে রেখো। দেখবে খুব ভালো লাগবে।।। কিছুদিনের মধ্যেই তোমাদের পরিবারের একজন হয়ে যাবে এটি।
অর্ক ভাবলো এইভাবেই বিনা টাকা দিয়ে সে বিনামূল্যে কিছু নেবে না। তাই সে বললো - না কাকু।।।। এটা বানাতে তোমার অনেক কষ্ট হয়েছে, এইভাবে ফ্রি তে আমায় দিলে তোমার তো অনেক ক্ষতি হবে।।। তুমি এটা কাউকে বেচে দিও।
লোকটা আবার হেসে বললো : না খোকাবাবু..... ওটা তুমি রাখো। আমি বলছি..... ওটা তোমার জন্যই। হামার টাকা লাগবেনা। আমি নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে এসব বেচি.......কিন্তু ওই মূর্তিটা আমি কাউকে বেচিনা..... ওটা আমার সবথেকে সেরা কাজ। কিন্তু আভি ওটা আমার আর সাথে রাখতে আর ইচ্ছে করছেনা। ওটা আর হামার সাথে রাখবোনা। তাই ওটা বিনামূল্যে তোমায় দিলুম। সাথে লিয়ে যাও। আচ্ছা খোকাবাবু অভি তুম যাও।
অর্ক কি আর করবে। হাসিমুখে লোকটাকে থ্যাংক উ বলে মূর্তিটাকে ব্যাগে পুরে নিয়ে চলে আসতে লাগলো। কিছুদূর যাবার পরে কি ভেবে আরেকবার পেছন ফিরে তাকালো লোকটাকে দেখবে বলে..... কিন্তু কই? যেখানে লোকটা একটু আগেও বসেছিল এখন ওখানে কিছুই নেই।। ফাঁকা।
বাড়ি ফিরতে ফিরতে অর্ক ভাবছিলো মা কি বলবে এটা দেখে? অচেনা লোকের থেকে জিনিস নিয়েছি শুনলে মা ভয়ানক বকবে ওকে। অর্ক মাকে খুব ভালোবাসে কিন্তু মায়ের রাগকে ভয়ও পায়। এইদিক থেকে বাবা অনেক বেশি সাপোর্ট করে। তাই অর্ক ভাবলো মাকে জানতে দেবেনা যে এটা ও এনেছে। গিয়েই লুকিয়ে রাখবে এটা নইলে মায়ের হাত থেকে নিস্তার নেই।
অর্কর দাদু আর ঠাম্মি একতলায় থাকে আর দোতলায় ওরা। ও গেটের কাছে এসে বেল বাজালো। ওপরের বারান্দায় একবার অর্কর মাকে দেখা গেলো। তারপরে মায়ের মুখ অদৃশ্য হলো। একটু পরেই নীচে নেমে এলো মা আর চাবি দিয়ে শাটার খুলে ছেলেকে জিজ্ঞেস করলো : কিরে বাবু? একটু দেরি হলো আজ?
অর্ক : মা ওই বন্ধুদের সাথে হাঁটতে হাঁটতে আসছিলাম তাই।।।
মা : আচ্ছা যা......ওপরে গিয়ে জামা প্যান্ট খোল......আমি আসছি। একবার বাবার কাছে যাই। তোর দাদুর একটু সর্দি সর্দি হয়েছে। দেখে আসছি।
যাক।।।। এই তো একটু সময় পাওয়া গেছে। এই সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে। ও সঙ্গে সঙ্গে ওপরে উঠে গেলো। আগে ঘরে গিয়েই ও ব্যাগের চেন খুলে মূর্তিটা বার করে এদিক ওদিক দেখতে লাগলো। তারপরে বিছানার নীচে লুকিয়ে ফেললো। তারপরে জামা প্যান্ট খুলে বাথরুম গেলো কাপড় পাল্টাতে। ফিরে দেখলো মা ওপরে চলে এসেছে। মা টেবিলে খাবার দিচ্ছে। ও আর মা দুপুরে খাওয়া খেতে লাগলো। মায়ের কাছ থেকে ও কিছু কখনো লুকোয় না তাই ওর খাড়াপ লাগছে যে ও মায়ের থেকে মূর্তিটা লুকিয়েছে। ইচ্ছে করছে মাকে এক্ষুনি সব বলে দিক তারপরে যা হবে হোক কিন্তু মূর্তিটা এত সুন্দর, মা হয়তো সব জেনে মূর্তিটা বাইরে ফেলে দেবে তাই আর কিছু বল্লোনা ও মাকে। বিকেলে বাবা ফিরুক। বাবাকে দিয়েই মাকে বলবে। বাবা বললে মা আর ওটা ফেলবে না।
তাই ও কথাটা চেপে মায়ের সাথে খেতে লাগলো। দুপুরে মা ওকে নিয়ে কিছুক্ষন ঘুমিয়ে নিলো। অর্ক এখনও মাকে জড়িয়ে ঘুমায়। মা ওকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে নিজেও ঘুমিয়ে পড়লো।
পরের পর্ব - উপভোগ - ০২
Comments
Post a Comment
গল্প পড়ে আপনার মতামত !!!